
দৈনিক সত্য প্রকাশ ডেস্কঃ করোনাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষার্থীকে মানবিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের মুঠোফোনে বিকাশ অথবা রকেটের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা করে এরই মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই সংগঠনের সমন্বিত এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বাংলাদেশে গত ২৫ মার্চ থেকে সরকারের আহ্বানে সকল মানুষ ঘরে থেকে করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আজ তাদের পরিবারের সাথে থেকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আগত। তাদের মধ্যে একটি অংশ সব সময় অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে থাকে, যার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার, যা বর্তমান মোট শিক্ষার্থীদের দশ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সব শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানবিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষে ইতিমধ্যে প্রতি শিক্ষার্থীকে ২০০০ টাকা করে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বিকাশ/রকেট অ্যাকাউন্ট নম্বরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সমন্বিতভাবে কাজটি করার জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকগণ, ডাকসু’র নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরিতে সহযোগিতা করেছে।
শিক্ষক সমিতি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগের ফলে এসব শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার একটু হলেও উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।